বৈশাখে কেমন হবে টিনেইজ মেকআপ
‘তেরো-চৌদ্দ বছরের মতো বালাই পৃথিবীতে আর নাই’ – রবি ঠাকুরের কথাটা এই বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে অস্পষ্ট – বোধগম্যহীন মনে হলেও বাবা-মায়ের কাছে তা ভোরের আলোর মতোই স্পষ্ট। সত্যি বলতে কী কৈশোর মানেই এক প্রচন্ড অস্থিরতা।
কী করছে আর কী বলছে এ দু’য়ের মধ্যে যোজন যোজন ব্যবধান থাকার নামই কৈশোর। আর এ বয়সী একজন মেয়ের সাজগোজটাইবা কেমন হবে তা নিয়ে চলে নানান মহলে নানান কথা। এ বয়সী মেয়েদের চেহারার মধ্যে এমনিতে একটা প্রকৃতি প্রদত্ত পবিত্র সৌন্দর্য থেকে থাকে।
আরোপিত কিছুর চেয়ে প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দর্যেই তারা অতুলনীয় হয়ে ওঠে খুব সহজেই্। কিন্তু এ সহজ বিষয়টা কোন কিশোরীর পক্ষে নিতান্ত সহজ নয়। আসলে বয়সটাইযে সেরকম; বুঝেও বোঝে না।
বৈশাখ নিয়ে সব বয়সি নারীদের থাকে সাজ-পোশাকের ধুম। সবাই চায় নিজেকে অন্যভাবে সাজাতে । এই বয়সে খুব বেশি মেকআপ করলে অসামাঞ্জস্য লাগে। তাই বলে বৈশাখে সাজবেনা তা কিন্তু নয়।
কিভাবে সাজলে এই বয়সে বেশ মানিয়ে যাবে সে ব্যাপারেই কিছু টিপস্ দেওয়া হলোঃ
* মুখে বেইজটা খুব ভালোভাবে করতে হবে কিন্তু পরিমান যেন ঠিক থাকে।
*বেইজ মেকআপ করার সময় কন্সিলর ব্যবহার করা যাবেনা। কন্সিলর ব্যবহার করলে এই বয়সের যে লাবণ্য তা মিইয়ে যায়।
* মাত্রাতিরিক্ত বেইজ দেওয়া যাবেনা। মেকআপ ব্লেন্ডারের সাহায্যে মেকআপ পুরোপুরি মিশিয়ে নিতে হবে।
*কালারফুল আই-মেকআপ করতে পারেন, টিনএজারদের সাথে বেশ মানিয়ে যায়।
*চোখের উপরের পাতায় হালকা কাজল বা লাইনার এর টান দিতেই পারে,ভালো মানিয়ে যাবে।কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে চোখের নিচের পাতায় কোন কাজল দেওয়া যাবেনা।এতে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
*কারো চোখ যদি ছোট হয় সেক্ষেত্রে চোখের নিচের পাতায় সাদা কাজল দিয়ে একে নিতে পারে। খুব একটা পার্থক্য বোঝা না গেলেও চোখটা বেশ বড় দেখাবে।
*চোখে বেশ ভারি করে মাশকারা পড়তে পারেন। এতে চোখের সাজ পরিপূর্ণ দেখাবে।
*ঠোঁটে হালকা লিপগ্লস বেশ মানিয়ে যাবে এই সাজের সাথে।
* আর ব্লাশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাইট কালারগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।
* এক্সট্রা কোন শিমার ব্যবহার না করাই ভালো।
তাজিন/প্রতিক্ষণ/এডি/শারমিন